মঞ্চ থেকে শুরু, এরপর ছোট-বড় পর্দায় দুর্দান্ত অভিনয়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন হুমায়ুন ফরিদী। পুরান ঢাকার ছেলে ফরিদী বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় পড়াশুনা করেন, সঞ্চয় করেন বিচিত্র অভিজ্ঞতা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষা নিতে এসে সেলিম আল দ্বীনের সংস্পর্শে জড়ান গ্রুপ থিয়েটারে।
ভাঙ্গনের শব্দশুনি, ভবের হাট, শৃঙ্খলসহ অসংখ্য নাটকে সাবলীল অভিনয়ে দর্শক মন জয় করেন। শহীদুল্লাহ কায়সারের সংশপ্তক নাটকে ‘কানকাটা রমজান’ চরিত্রে অভিনয় করে বুঁদ করে রাখেন দর্শকদের। সব শ্রেণির দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসেন বর্ণময় এই অভিনেতা।
নব্বইয়ের দশকে চলচ্চিত্রে নায়ক-খলনায়ক উভয় চরিত্রে দাপুটে অভিনয় করে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখান তিনি। অভিনয়ে যেমন ছিলো শক্তিশালী অবস্থান, মানুষ হিসেবেও ছিলেন অনন্য। তাঁর জীবনবোধের বাণী এখনও অনুসরণ করে মানুষ।
শুধু অভিনয় নয়, আবৃত্তিতেও মানুষের মন জয় করেছেন হুমায়ুন ফরিদী। অভিনয়ে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ুন ফরিদী। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম বর্ষপূর্তিতে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয় গুণী এই শিল্পীকে।
২০১২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি ফুসফুসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান কিংবদন্তী শিল্পী হুমায়ুন ফরিদী।