কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সহযোগী সংগঠনের কমিটি পূর্ণাঙ্গ না থাকায় সঠিকভাবে দায়িত্ব বন্টন করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এসব সংগঠনের নেতাদের।
করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে কর্মহীন হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ চলছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের সহায়তায় চলছে ত্রাণ বিতরণের কাজ।
দেশের এমন সঙ্কটে সকল সাংগঠনিক কর্মসুচি স্থগিত রেখে জনসচেতনতামুলক কাজ করছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় সাবেক নেতাদের নিয়ে কাজ করছেন তারা।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘প্রতিটি থানা এবং ওয়ার্ডকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য, আমরা দুজন করে ঢাকা মহানগরের সাবেক নেতা যারা ছিলেন, তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি। ছয় লাখ পরিবারকে আমরা খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দিয়েছি।প্রায় পাঁচ হাজার পিপিই এবং এক লাখ মাস্ক আমরা বিতরণ করেছি। কে কোন দল করে সেটা আমরা দেখবো না। আমরা দেখবো কারা বিপদগ্রস্ত ও অনাহারে আছে।’
তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্কটের এ সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলে সারাদেশে তাদের কর্মসুচি আরো গতিশীল হতো। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, ‘ঢাকা শহরে ১০টি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ডেইলি হেল্থ সার্ভিস আমরা চালু করেছি। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা আমাদের সহযোগীতা করেছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি টিম ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে আমাদের কাজগুলো পরিচালনা করেছি। আশাকরি পূর্ণঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলে, নিজ নিজ পরিচয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবো।’
তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, জনগণের পাশে থাকাই বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত এ মুহুর্তে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন,’আওয়ামী পরিবারের এমন কোন নেতা নাই, যারা প্রাণপণ চেষ্টা করেনি বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর।অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। প্রধান লক্ষ্যটা হলো, এ সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানুষের সহযোগীতা করা।’
কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সিদ্ধান্ত একমাত্র দলীয় সভাপতি নেবেন বলে জানান এ নেতা।