করোনা সংকটে আইসিটি খাতের বেশিরভাগ প্রকল্পই ‘নিম্ন অগ্রাধিকার’ তালিকায় ঢুকছে এমন আশঙ্কায় উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন- আইসিটি প্রকল্পের অর্থছাড় বন্ধ হলে করোনার মতো সংকট মোকাবিলায় প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়বে না সরকারের। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্প অগ্রাধিকারে যে কোনো সময় পরিবর্তন আসতে পারে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
করোনা সংকটে সর্বোচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন অগ্রাধিকার এই তিন ক্যাটাগরিতে আলাদা হচ্ছে সরকারের চলমান সব প্রকল্প। এরমধ্যে কম অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অর্থছাড় বন্ধ রেখে তা ব্যয় হতে পারে করোনা মোকাবিলায়।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর আশঙ্কা- আইসিটির অনেক প্রকল্পের ওপরই নামছে কম অগ্রাধিকার তালিকার খড়গ।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং এর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, আইসিটি খাতের অনেক প্রকল্পই ক্যাটাগরি ‘সি’ হবে বলে আমরা শুনতে পেরেছি। তবে পুরো আইসিটি খাতই যে ‘সি’ ক্যাটগরি হবে এমন কিছু এখনও আমরা শুনেনি।এসব তথ্যের জন্য আইসিটি সংগঠনগুলো সরকারে আইসিটি বিভাগ এবং এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, যদি কোন কারনে এই খাতে বরাদ্দ কমে যায় তাহলে কিন্তু বড় ধরণের বিপর্যয় দেখা দিবে। আমাদের কোন ধরণের প্রপ্সতুতি থাকপবে না বভিষ্যত মোকাবেলার জন্য। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
আইসিটি প্রকল্পের অর্থছাড় বন্ধ থাকলে বিপাকে পড়বেন এই খাতের উদ্যোক্তারাও।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং এর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, আইসিটি খাতের প্রকল্পগুলো যদি ‘সি’ ক্যাটাগরিতে যায় এবং এগুলো বাতিল হয়ে যায় তাহলে কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এসব বিষয়ে আরও দিক নির্দেশনা দরকার এবং সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তবে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নুরুল আমিন জানিয়েছেন- কম অগ্রাধিকার প্রকল্পের অর্থ ছাড় হতে পারে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এই ক্যাটাগরিগুলো করেছেন।প্রথম দুটোতে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ি ব্যয় করা যাবে আর তিন নম্বর ক্যাটাগরিতে ব্যয় করতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে করতে হবে।তাই ছাড়ের কোন বাধা নেই অর্থ দেয়া যাবে শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রকল্পের অগ্রাধিকার অদলবদল হতে পারে- জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা যে তিনটি ক্যাটাগরি করেছি এগুলো পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিন্তু পরিবর্তন করা যাবে। বাজেট ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এগুলা খসড়া হিসেবে আছে,তাই এগুলো পরিবর্তন করা যাবে।
৩শ’রও বেশি প্রকল্প নিম্ন অগ্রাধিকার তালিকায় পড়ছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা বিভাগ।