রোগির পরিচর্যা থেকে শুরু করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাবার তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে রোবট। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের কর্মহীন হওয়ার শঙ্কা আরো বাড়ছে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
করোনার ঠেকাতে শারীরিক দূরত্বের নিয়ম মানতে হচ্ছে সবাইকে। এমন বাস্তবতায় বেড়েছে রোবটের ব্যবহার।
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এরইমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবায় রোবটের ব্যবহার শুরু করেছে অনেক হাসাপাতাল। শারীরিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে অন্যান্য সেবাখাতেও রোবট দিচ্ছে নির্ভরযোগ্য সমাধান।
লেখক মার্টিন ফোর্ড বলেন, রোবটের ধারণা পুরানো হলেও মানুষ কিন্তু এখনো অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। দোকানে গিয়ে তারা অবশ্যই একজন মানুষের সাথে কথা বলতে চায়, যার সাথে কথা বলে পছন্দের জিনিস কেনা যায়। কিন্তু মহামারি শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেল। নিরাপত্তার জন্য এখন অবশ্যই অনেক মানুষ রোবটই পছন্দ করবে।
কিন্তু সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে কিছু। রোবট নিয়ে বড় সময় ধরে গবেষণা করা লেখক মার্টিন ফোর্ড বলছেন, কাজের জায়গা রোবটের দখলে চলে গেলে অবশ্যই চাকরি হারাতে শুরু করবে অনেক মানুষ। করোনা পরবর্তী বিশ্ব স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়বে। এমন বাস্তবতায় উদ্যোক্তারা খরচ কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মানুষ।
মার্টিন ফোর্ড আরো বলেন, করোনা যদি প্রযুক্তির এই ব্যবহারের সাথে আমাদের অভ্যস্ত করে তোলে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এর ব্যবহার আর সাময়িক থাকবে না। এতে স্থায়ীভাবে মানুষের কাজের সুযোগ কমবে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সবাই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে যে খরচ কমাতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক।
মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহারের রয়েছে আরো কিছু নেতিবাচক দিক। কাজ সহজ করার পাশাপাশি এই প্রযুক্তি মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে ফেলতে পারে হুমকির মুখে।
এছাড়া, রোবটের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যে সমীকরণ মেনে চলে তা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ ভেদে সামাজিক মূল্যবোধ মেনে কাজ করতে পারবে কিনা সেটি নিয়েও রয়েছে সংশয়। তাই গবেষকরা বলছেন, দিনশেষে প্রযুক্তির দৌড় কোন পর্যন্ত হবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে মানুষকে।